অনুমোদনহীন ওষুধ রাখলে অবশ্যই আইনানুয়ায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
তিনি আজ রোববার সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির করণীয় শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় এই হুঁশিয়ারি দেন।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে আরো বলেন, মানবিকতার চেয়ে জনস্বাস্থ্য অনেক বেশি জরুরী। এ কারণে জনস্বাস্থ্যকেই সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, কেমিস্ট, ড্রাগিস্ট ও ওষুধ ব্যবসায়িদের অনেক সচেতন হতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আছে কিনা এর প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
আইন মানার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নাগরিকেরা পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জেলার সাড়ে ছয় হাজার ওষুধের দোকানের মধ্যে মাত্র এক হাজার দুইশ’টির লাইসেসন্স আছে। বাকিসব লাইসেন্স বিহীন। আইন নিজে নিজে সচেতনভাবে মেনে গেলে তা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না।
জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি জহিরুল হকের সভাপতিত্বে ও কাওছারের পরিচালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওষূধ ব্যবসায়িদের পক্ষে এসএম শাহজাদা খাদেম।
সভায় অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শওকত হোসেন, বিএমএ’র সম্পাদক ডা. আবু সাঈদ, জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা ড্রাগ সুপারিনটেন্ডেন্ট বাদল সরকার, জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজু।
সমিতির পক্ষে বক্তব্য দেন নাসিরনগর উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি শ্রী নিবাস চন্দ্র দাস, সরাইল উপজেলার সভাপতি শরীফ উদ্দিন মোল্লা, আশুগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মোবারক আলী, আহমদ হোসেন প্রমুখ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS