সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, আইসিটি শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষের মাধ্যমে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।
“এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তবে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াতে কিছু অতিরিক্ত বিষয় এ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।”
মন্ত্রিপরিষদ আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিলেও কিছু অনুশাসন ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
“নামের ব্যাপারে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে এবং পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করা, এর জন্য কিছু পদ্ধতি রয়েছে এজন্য বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের অনুমতি লাগে, এ বিষয়টি আইন চূড়ান্ত করার সময় ঠিক করা হবে,” বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা বা গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ আকর্ষণীয় হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
“দেশে ও বিদেশে আইসিটি ক্ষেত্রে অসাধারণ মেধাবী ও যোগ্য লোকদের আকৃষ্ট করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় যারা শিক্ষক হবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা দেওয়ার বিধান থাকবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পযায়ে গুরুত্বপূর্ণ লোককে নিয়ে আসতে পারব।”
তিনি জানান, এখানে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি দূরশিক্ষণ ও অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় একাডেমিক কাউন্সিলে আইসিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা থাকবেন।
“একাডেমিক কাউন্সিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত দুজন আইসিটি শিল্প উদ্যোক্তা থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন কমিটিতে পরিকল্পনা বিভাগের একজন প্রতিনিধি থাকবে, যাতে তারা প্রকল্পগুলো ঠিকঠাক নিতে পারে।”
বদরুল আলম মোজাম্মেল
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS