বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতির প্রবর্তনের ধারাবাহিকতায় জাতীয় ই-তথ্য সেবার মাধ্যমে মাত্র তিনদিনেই জমির পর্চা পাচ্ছে রাজশাহী জেলার সাধারণ নাগরিকরা।
একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম (এটুআই) এর যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হাসান বেনাউল জানান, বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে সারাদেশের পাঁচটি বিভাগীয় দপ্তরে এ সেবা চালু রয়েছে। এই সেবাটি পর্যায়ক্রমে দেশের সকল জেলা-উপজেলায় প্রবর্তিত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এটুআই এর দাপ্তরিক তথ্যমতে, জাতীয় ই-সেবা সিস্টেমের আওতায় নাগরিকরা ট্র্যাকিং, রশিদ, নাগরিক, দাপ্তরিক ও নকলের কপি উত্তোলন এই পাঁচ ধরনের সেবা পায়। একজন নাগরিক প্রথমে সরাসরি বা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়েই অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করেন।
এই আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করেন। একই রকম সময়ে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাকে কাজটি বুঝিয়ে দেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সমস্যা বুঝে দ্রুততম সময়ে সমাধান জানিয়ে দেন। পুরো বিষয়টি সম্পন্ন হয় অনলাইনেই। পূর্বে এই কাজে প্রচুর অর্থ ব্যায় হলেও এখন ২৬ টাকা খরচ করে একটি পর্চা পেয়ে থাকেন। অনলাইনের এই প্রক্রিয়ায় পূর্বের তুলনায় কয়েকগুন সময় কম লাগে।
জেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী মাস্তুরা খাতুন জানান, এই সেবার কারণে আমাদের মেধা বিকশিত হচ্ছে। আগে আমরা সহজে জমির পর্চা বের করতে পারতাম না। প্রতিদিন আমরা ১৫-২০টি পর্চা দিতে পারতাম। এখন দুইশোর বেশি পর্চা দেয়া যায়। এই সেবার কারণে সাধারণ মানুষদের কোনো ধরনের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। এখন খুব সহজেই তারা জমির পর্চা পেয়ে যাচ্ছে।
পর্চা নিতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, তিনদিনের মধ্যে জমির পর্চা পেয়েছি। এতে করে বাড়তি সময় বা অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছেনা। সহজে পেয়ে যাচ্ছি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে আবেদন করে তিনদিনে জমির পর্চা পেয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর এই পদ্ধতির কারণে কোনো প্রকার দুর্নীতি হওয়ারও সুযোগ নেই।
=====সংগ্রহ- ফেসবুক থেকে
Views: 51
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS